মহালয়া তারিখ – ২৫ সেপ্টেম্বর রবিবার, বাংলা ৮ ই আশ্বিন। সময় – ২ টা ৫৫ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড থেকে পরের দিন রাত্রি ৩ টা ২৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড পর্যন্তর্য অমাবস্যা থাকবে। এই সময়কালেই মহালয়ার তর্পণর্প অনুষ্ঠিত হবে। ⇒ মহাপঞ্চমী শুক্রবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, বাংলা ১৩ ই আশ্বিন। ⇒ মহাষষ্ঠী তারিখ – শনিবার ১ অক্টোবর ২০২২, বাংলা ১৪ ই আশ্বিন। সময় – ৮ টা ৩৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ড পর্যন্ত। ⇒ মহাসপ্তমী তারিখ – রবিবার ২ অক্টোবর, বাংলা ১৫ ই আশ্বিন। সময় – রাত্রি ৬ টা ২১ মিনিট ৪২ সেকেন্ড পর্যন্ত। ⇒ মহাঅষ্টমী তারিখ – সোমবার ৩ অক্টোবর ২০২২ , বাংলা ১৬ ই আশ্বিন। সময় – দিন ৩ টা ৫৯ মিনিট ১৮ সেকেন্ড পর্যন্তর্য । সন্ধিপূজাঃ দিন ৩ টা ৩৫ মিনিট ১৮ সেকেন্ড থেকে দিন ৪ টা ২৩ মিনিট ১৮ সেকেন্ড পর্যন্তর্য । ⇒ মহানবমী তারিখ – ৪ অক্টোবর ২০২২, বাংলা ১৭ ই আশ্বিন। সময় – দিন ৩ টা ৫৯ মিনিট ১৮ সেকেন্ড পর্যন্তর্য । ⇒ মহাদশমী তারিখ – বুধবার ৫ অক্টোবর, বাংলা ১৮ ই আশ্বিন। সময় – দিন ১১ টা ১০ মিনিট ৭ সেকেন্ড পর্যন্তর্য ।
দূর্গা পূজোর ইতিহাস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
দূর্গা পূজোর ইতিহাস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২

দূর্গা পূজোর ইতিহাস

 দূর্গা পূজোর ইতিহাস

আশ্বিন বা চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে দুর্গা মহাপূজা করা হয়।আশ্বিনের নবরাত্রি পূজা শারদীয় পূজা এবং বসন্তের নবরাত্রির পূজা বাসন্তী দুর্গাপূজা নামে পরিচিত।শারদীয় দূর্গা পূজাকে অকাল বোধনও বলা হয়।পুরান অনুসারে শ্রীরাম চন্দ্র তিনি শরৎকালে অকালবোধনের মধ্য দিয়ে দূর্গা পূজোর সূচনা করেছিলেন।শাস্ত্র অনুসারে, শরৎকালে সাধারণত দেবতারা ঘুমন্ত থাকেন।এবং এই সময়টি তাদের পূজা করার জন্য যথাযথ সময় বলে বিবেচনা করা হয় না। অকাল সময়ে পূজা বলে তাই বলা হয়ে থাকে এই পূজার নাম "অকালবোধন"। পুরাণ অনুসারে, রামকে সাহায্য করার জন্য ব্রহ্মা দুর্গা দেবীর বোধন ও পূজা করেছিলেন। এবং কৃত্তিবাস ওঝা তার রামায়য়ণে লিখেছেন, রাম স্বয়ং দুর্গার বোধন ও পূজা করেছিলেন।আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।দেবীপক্ষের সূচনার অমাবস্যাটির নাম মহালয়া এই দিন হিন্দুরা তর্পণ করে তাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন করা হয়।শারদীয় দূর্গা পূজাকে অকাল বোধনও বলা হয়।শারদীয়া দূর্গা পূজার মূুল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় মহালয়া বা পিতৃপক্ষের অবসান এর মধ্য দিয়ে। এই দিনেই মূলত পিতৃপক্ষের সমাপ্ত ও দেবী পক্ষের শুভ সূচনা হয়।মহালয়ার এই দিনটাই পূর্বপুরুষদের আত্মা শান্তি কামনা করে  অঞ্জলি প্রদান করা হয়ে থাকে। মহাভারতে এই সম্পর্কে  কাহিনী আছে যে দাতা কর্ণের মৃত্যুর পর তার আত্মা স্বর্গে গমন করলে  স্বর্ণ  ও রত্নখাদ্য হিসেবে প্রদান করা েহতো এর কারণ জিজ্ঞাস করলে ইন্দ্র বলেন আপনি সারা জীবন স্বর্ণ  ও রত্ন দান করেছেন ।তাই তাকে খাদ্য হিসেবে এগুলো প্রদান করা হতো। তিনি পিতৃগণ সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না  সেই জন্য ‍তিনি অনুমতি নিয়ে ষোলো দিনের জন্য মর্ত্যে গিয়ে  পিতৃ পিতৃলোকের উদ্দেশ্য অন্ন ও জল প্রদান করেন এই পক্ষ মূলত পিতৃপক্ষ।বাংলার প্রথম দূর্গা পূজার প্রচলন করেন রাজা কংস নারায়ন রায় বাহাদূর ১৮৪০ সারে এর সূচনা হয় ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম শারদীয় দূর্গাপূজা এখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে দূর্গা পূজার প্রথম প্রচলন স্থান রাজশাহীর তাহেরপুর গ্রামে । এই যুগে রাজা কংস নারায়নের হাত ধরে নব রূপে আবার দূর্গা পূজোর সূচনা হয় ৮৮৭ বঃ ১৮৪০ খ্রিঃ। শরৎকালে আশ্বিন মাসের মহা ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে পূজোর শুভ সূচনা হয়।শোনা যায় সেই সময় তিনি নয় লক্ষ টাকা খরচ করে এই পূজা করেছিলেন এই পূর্ণ ভূমিতে মা দূর্গার প্রথম পদধূলিতে ধন্য হয়েছে।