শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব ২০২১
পৃথিবীর উচ্চতম নির্মাণ 'বুর্জ খলিফা' দেখতে আর দুবাই যাওয়ার দরকার নেই। খাস কলকাতার বুকে একটু একটু করে মাথা দাঁড়াচ্ছে সেই গগনচুম্বী অট্টালিকা।
শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব ২০২১
বাঙালীদের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা এই উৎসব শুধু ভারত বর্ষে নয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এখন উদযাপন করা হয়।নিউইয়র্কের দূর্গা পূজা কলকাতার মতো বেশ অয়োজন করে করা হয় এখানে মহালয়া থেকে দশমী পযন্ত এই দশ দিন নানা প্রথা ও আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আয়োজন করা হয়। এখানে প্রায় ১৯৭০ সাল থেকে থেকে শুরু হয়ে ছিল যা ৫০টি রাজ্যে শারদীয় দূর্গা পজো উদযাপন করা হয়।আমেরিকার ইতিহাসে এই বার প্রথম উন্মুক্ত স্থান ডাইভারসিটি প্লাজা দুর্গা পুজা , জ্যাকসন হাইটস , নিউইয়র্ক , আমেরিকায় বেঙ্গলী ক্লাব , ইউ এস এ এর আয়োজন করা হয়। সেই আয়োজন উপলক্ষে “ মিট দা প্রেস “ নামে সাংবাদিক সন্মেলনের আয়োজন করা হয় ।এই আয়োজেন মূল বিষয় ছিল ইউনেস্কোর তালিকায় স্থান পেল বাঙালির প্রধান উৎসব দুর্গাপুজো। ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুজোকে। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল,বলিভিয়ার মতো বিশ্বের মাত্র ৬ দেশের উৎসব এখনও পর্যন্ত -UNESCO র স্বীকৃতি পেয়েছে।আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর এই বছরও বেঙ্গলি ক্লাব ইউএসএ'র আয়োজনে বাঙালির সবচেয়ে বড় এ উৎসবে যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষ।বুধবার (৩১ আগস্ট) এ উপলক্ষে আয়োজিত 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে আয়োজকরা জানান, পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছেন তারা। এবার দুর্গাপুজার এই আয়োজন সফল করতে সর্বাত্মক এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ধর্মাম্বলী মানুষ। ১ অক্টোবর উৎসবের প্রথমদিন ষষ্ঠীতে পুজোর উদ্বোধন করবেন বিশ্ব বাঙালি ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবক ধনকুবের ব্যবসায়ী ডা. কালী প্রদীপ চৌধুরী।পুজার অন্যান্য দিনগুলোতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন মার্কিন কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেং, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জেসিকা রেমোস, এসেম্বলিওমেন ক্যাটালিনা ক্রুজ, এসেম্বলিওমেন জেনিফার রাজকুমার, জ্যাকসন হাইটসের কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান-সহ জ্যাকসন হাইটসের ব্যবসায়ীরা। ডাইভারসিটি প্লাজা দুর্গাপুজার আহ্বায়ক দীনেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন,
পূজোর খবর
একটি বছরের অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে আর সেজে উঠছে পাড়ার আর ক্লাবের প্যান্ডেল গুলো নজর কারা আলোক সজ্বা আর মতো মাথানো থিম নিয়ে হাজির হচ্ছে সবাই। উৎসব আমার উৎসব আপনার উৎসব আমাদের সকলের দক্ষিণ পাড়া দূর্গোৎসব কমিটির এবারের শারদৎসবে তাদের এবারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় অভিনেত্রী মানসী ঘোষ ।তাই সকলকে আমন্ত্রন জানাই পূজা মন্ডপের কমিটির পক্ষ থেকে আপনারা সবান্ধবে উপস্থিত হয়ে সাফল্যমন্ডিত করে তুলুন তাদের এই আয়োজন।সৃজনে : পাপাই সাঁতরা
প্রতিমা : দীপঙ্কর পাল
আবহ : সৈকত দেব
আলোক নির্দেশনায় : কুণাল পাঠক
দেবীর আগমন ও গমন
প্রত্যেক বছর দেবী আমাদের মাঝে আসেন ভক্তদের দর্শন দিতে তবে তিনি আগমন গমনের জন্য বিভিন্ন বাহন ব্যবহার করেন প্রত্যেক বাহনের শুভ ও অশুভ ফল থাকে । দেবীর আগমন ও গমন কোন বাহনে তার উপর নির্ভর করে গোটা বছর পৃৃথিবীবাসীর কেমন যাবে। বছরের নতুন পঞ্জিকা তে মা দূর্গার আগমন ও গমনের ফল লিপিবদ্ধ থাকে। এ সম্পর্কে গ্রন্থে বলা হয়েছে প্রতি বছর সপ্তমী ও দশমী কী বার পড়ছে তার উপর নির্ভর করে দেবী কি সে আসবেন ও যাবেন।এ ছাড়া আরো বলা হয়েছে যে বছর দেবীর আগমন ও গমন একই বাহনে ঘটে সেই বছর অত্যন্ত অশুভ হিসেবে ধরা হয়।এমন টা হয়েছিল ২০১৯ সালে যার ফল পৃথিবী বাসী ভোগ করেছে ।কোন বারে আগমন ও গমন হলে কি বাহন ঃ
সপ্তমী ও দশমী তিথি সোমবার বা মঙ্গলবার হলে দেবী দুর্গার আগমন বা গমন হয় গজে।শনিবার অথবা মঙ্গলবার ঘটকে আগমন বা গমন হয়।বুধবার দেবী দুর্গার আগমন ও গমন হয় নৌকায়।আবার বৃহস্পতি বা শুক্রবার দোলায় আগমন বা গমন হয়।
কোন বাহন কীসের প্রতীক বহন করে ঃ
দোলা ঃ দোলা যার অর্থ হলো পালকী যার ফলে মরক বা মহামারীর প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।
নৌকা ঃ নৌকার ফলে বন্যা ও অতিবৃষ্টি নৌকার আগমনের ফলে শষ্যপূর্ণ বসুন্ধরা হয়।
গজ ঃ গজ যার অর্থ হলো হাতি যা শান্তি ও সমৃদ্ধির ফল বহন করে গজের আগমন গমন উভয়ের ফলে শষ্যপূর্ণ বসুন্ধরা হয়।
ঘটক ঃ ঘটক যার অর্থ হলো ঘোড়া যার ফলে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করে , যুদ্ধ এবং অশান্তিরি প্রতীক।
এই বছর ২০২২ সালে মায়ের আগমন ও গমন
দেবী দূর্গা এই বছর আসবেন গজে যা শান্তি ও সমৃদ্ধির ফল বহন করে এবং ফিরবেন নৌকায় ফলে বন্যা ও অতিবৃষ্টি এবং শষ্যপূর্ণ বসুন্ধরা হয়।
পূজো প্রস্তুতি
এবার মধ্য কলকাতার অন্যতম একটি সেরা পূজো সন্তোষ মিত্র স্কয়ারের পূজো তে এবার ব্যতিক্রম থাকছেই এই বছরের বিশেষ চমক হিসেবে থাকছে লাল কেল্ল আদলে তৈরি মন্ডপ তাই জোর কদমে চলছে মন্ডপ তৈরির প্রস্তুতি পূজো উদ্যোগক্তদের দাবি এবারও তারা সেরা স্থান হিসেবে দক্ষল করে নিবে এখন শুধু দেখার পালা আর কি কি চমক থাকছে।
দূর্গা পূজোর ইতিহাস
আশ্বিন বা চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে দুর্গা মহাপূজা করা হয়।আশ্বিনের নবরাত্রি পূজা শারদীয় পূজা এবং বসন্তের নবরাত্রির পূজা বাসন্তী দুর্গাপূজা নামে পরিচিত।শারদীয় দূর্গা পূজাকে অকাল বোধনও বলা হয়।পুরান অনুসারে শ্রীরাম চন্দ্র তিনি শরৎকালে অকালবোধনের মধ্য দিয়ে দূর্গা পূজোর সূচনা করেছিলেন।শাস্ত্র অনুসারে, শরৎকালে সাধারণত দেবতারা ঘুমন্ত থাকেন।এবং এই সময়টি তাদের পূজা করার জন্য যথাযথ সময় বলে বিবেচনা করা হয় না। অকাল সময়ে পূজা বলে তাই বলা হয়ে থাকে এই পূজার নাম "অকালবোধন"। পুরাণ অনুসারে, রামকে সাহায্য করার জন্য ব্রহ্মা দুর্গা দেবীর বোধন ও পূজা করেছিলেন। এবং কৃত্তিবাস ওঝা তার রামায়য়ণে লিখেছেন, রাম স্বয়ং দুর্গার বোধন ও পূজা করেছিলেন।আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়।দেবীপক্ষের সূচনার অমাবস্যাটির নাম মহালয়া এই দিন হিন্দুরা তর্পণ করে তাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধানিবেদন করা হয়।শারদীয় দূর্গা পূজাকে অকাল বোধনও বলা হয়।শারদীয়া দূর্গা পূজার মূুল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় মহালয়া বা পিতৃপক্ষের অবসান এর মধ্য দিয়ে। এই দিনেই মূলত পিতৃপক্ষের সমাপ্ত ও দেবী পক্ষের শুভ সূচনা হয়।মহালয়ার এই দিনটাই পূর্বপুরুষদের আত্মা শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করা হয়ে থাকে। মহাভারতে এই সম্পর্কে কাহিনী আছে যে দাতা কর্ণের মৃত্যুর পর তার আত্মা স্বর্গে গমন করলে স্বর্ণ ও রত্নখাদ্য হিসেবে প্রদান করা েহতো এর কারণ জিজ্ঞাস করলে ইন্দ্র বলেন আপনি সারা জীবন স্বর্ণ ও রত্ন দান করেছেন ।তাই তাকে খাদ্য হিসেবে এগুলো প্রদান করা হতো। তিনি পিতৃগণ সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না সেই জন্য তিনি অনুমতি নিয়ে ষোলো দিনের জন্য মর্ত্যে গিয়ে পিতৃ পিতৃলোকের উদ্দেশ্য অন্ন ও জল প্রদান করেন এই পক্ষ মূলত পিতৃপক্ষ।বাংলার প্রথম দূর্গা পূজার প্রচলন করেন রাজা কংস নারায়ন রায় বাহাদূর ১৮৪০ সারে এর সূচনা হয় ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম শারদীয় দূর্গাপূজা এখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে দূর্গা পূজার প্রথম প্রচলন স্থান রাজশাহীর তাহেরপুর গ্রামে । এই যুগে রাজা কংস নারায়নের হাত ধরে নব রূপে আবার দূর্গা পূজোর সূচনা হয় ৮৮৭ বঃ ১৮৪০ খ্রিঃ। শরৎকালে আশ্বিন মাসের মহা ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে পূজোর শুভ সূচনা হয়।শোনা যায় সেই সময় তিনি নয় লক্ষ টাকা খরচ করে এই পূজা করেছিলেন এই পূর্ণ ভূমিতে মা দূর্গার প্রথম পদধূলিতে ধন্য হয়েছে। দুর্গা
পূজার নির্ঘন্ট ২০২২
মহালয়াঃ ২৫ সেপ্টেম্বর রবিবার, বাংলা ৮ ই আশ্বিন। পূর্বদিন রাত্রি ২ টা ৫৫ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড থেকে পরের দিন রাত্রি ৩ টা ২৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড পর্যন্ত অমাবস্যা থাকবে।মহাষষ্ঠীঃ ১ অক্টোবর ২০২২, বাংলা ১৪ ই আশ্বিন। রাত্রি ৮ টা ৩৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ড পর্যন্ত।মহাসপ্তমীঃ রবিবার ২ অক্টোবর, বাংলা ১৫ ই আশ্বিন। রাত্রি ৬ টা ২১ মিনিট ৪২ সেকেন্ড পর্যন্ত।মহাঅষ্টমীঃ ৩ অক্টোবর ২০২২ , বাংলা ১৬ ই আশ্বিন। দিন ৩ টা ৫৯ মিনিট ১৮ সেকেন্ড পর্যন্ত।মহানবমীঃ ৪ অক্টোবর ২০২২, বাংলা ১৭ ই আশ্বিন। দিন ৩ টা ৫৯ মিনিট ১৮ সেকেন্ড পর্যন্ত।মহাদশমীঃ বুধবার ৫ অক্টোবর, বাংলা ১৮ ই আশ্বিন। দিন ১১ টা ১০ মিনিট ৭ সেকেন্ড পর্যন্ত।