মহালয়া তারিখ – ২৫ সেপ্টেম্বর রবিবার, বাংলা ৮ ই আশ্বিন। সময় – ২ টা ৫৫ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড থেকে পরের দিন রাত্রি ৩ টা ২৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড পর্যন্তর্য অমাবস্যা থাকবে। এই সময়কালেই মহালয়ার তর্পণর্প অনুষ্ঠিত হবে। ⇒ মহাপঞ্চমী শুক্রবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, বাংলা ১৩ ই আশ্বিন। ⇒ মহাষষ্ঠী তারিখ – শনিবার ১ অক্টোবর ২০২২, বাংলা ১৪ ই আশ্বিন। সময় – ৮ টা ৩৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ড পর্যন্ত। ⇒ মহাসপ্তমী তারিখ – রবিবার ২ অক্টোবর, বাংলা ১৫ ই আশ্বিন। সময় – রাত্রি ৬ টা ২১ মিনিট ৪২ সেকেন্ড পর্যন্ত। ⇒ মহাঅষ্টমী তারিখ – সোমবার ৩ অক্টোবর ২০২২ , বাংলা ১৬ ই আশ্বিন। সময় – দিন ৩ টা ৫৯ মিনিট ১৮ সেকেন্ড পর্যন্তর্য । সন্ধিপূজাঃ দিন ৩ টা ৩৫ মিনিট ১৮ সেকেন্ড থেকে দিন ৪ টা ২৩ মিনিট ১৮ সেকেন্ড পর্যন্তর্য । ⇒ মহানবমী তারিখ – ৪ অক্টোবর ২০২২, বাংলা ১৭ ই আশ্বিন। সময় – দিন ৩ টা ৫৯ মিনিট ১৮ সেকেন্ড পর্যন্তর্য । ⇒ মহাদশমী তারিখ – বুধবার ৫ অক্টোবর, বাংলা ১৮ ই আশ্বিন। সময় – দিন ১১ টা ১০ মিনিট ৭ সেকেন্ড পর্যন্তর্য ।

শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

২০২৫ সালের দুর্গাপূজা, কালীপূজা, লক্ষ্মীপূজার তারিখ এবং বিস্তারিত


দুর্গাপূজা শেষ হলেও বাঙালির উৎসবের দিনপঞ্জি এখানেই থেমে থাকে না। লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা, দীপাবলি, ভাইফোঁটা—উৎসবের আবহে মেতে থাকার জন্য দিন গুনছেন অনেকে।

দুর্গাপূজা বাঙালির অন্যতম বড় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় আচার নয়, বরং আনন্দ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সামাজিক মেলবন্ধনের প্রতীক। 

২০২৫ সালের পুজোর নির্ঘণ্ট:

  • মহালয়া:
    পিতৃপক্ষের সমাপ্তি এবং দেবীপক্ষের সূচনা। এই দিনে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে পৃথিবীতে আহ্বান জানানো হয়। ২১ সেপ্টেম্বর (রবিবার)
  • ষষ্ঠী: এই দিনে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ এবং অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার)
  • সপ্তমী: কলাবউ (নবপত্রিকা) স্নান করানো হয় এবং মূল পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।২৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার)
  • অষ্টমী: 
  • কুমারী পূজা এবং সন্ধিপূজা এই দিনের বিশেষ আকর্ষণ। সন্ধিপূজায় দেবী চামুণ্ডার মহিষাসুর বধের ঘটনা স্মরণ করা হয়।৩০ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার)

  • নবমী: মহিষাসুর বধের চূড়ান্ত পর্ব। দিনটি শক্তির জয় উদযাপন করে।১ অক্টোবর (বুধবার)

  • বিজয়া দশমী: বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে দেবীকে বিদায় জানানো হয়।২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার)
  • লক্ষ্মীপূজা: ৬ অক্টোবর (সোমবার)
  • বাংলাদেশ:
    দুর্গাপূজা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উৎসব, যেখানে এটি ‘শারদীয় দুর্গোৎসব’ নামে পরিচিত। বিশেষ করে ঢাকেশ্বরী মন্দির, চট্টগ্রামের পাথরঘাটা, এবং বরিশাল অঞ্চলের পূজাগুলো বিখ্যাত।

  • ভারত:
    পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ওডিশা, বিহার এবং ত্রিপুরায় এটি সবচেয়ে বেশি জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়। কলকাতার দুর্গাপূজাকে ২০২১ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

  • বিদেশে:
    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাঙালিরা দুর্গাপূজা পালন করেন।


  • দুর্গাপূজার সাংস্কৃতিক দিক

    • থিম পুজো:
      আধুনিককালে থিমভিত্তিক মণ্ডপ তৈরি একটি নতুন ধারা। প্রতিটি মণ্ডপ আলাদা আলাদা থিমের মাধ্যমে সামাজিক বার্তা দেয়।

    • ধুনুচি নাচ:
      এটি পূজার গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সন্ধ্যারতি শেষে অনুষ্ঠিত হয়।

    • অঞ্জলি ও প্রসাদ:
      অষ্টমী ও নবমীতে অঞ্জলি দেওয়ার প্রথা এবং ভোগ প্রসাদ নেওয়া পূজার বিশেষ আকর্ষণ।


    বিশেষ আকর্ষণ

    • দেবীর আগমন ও গমন:
      শাস্ত্র অনুযায়ী দেবীর আগমন ও গমনের বাহন সুখ-দুঃখের প্রতীক।

      • গজ (হাতি): শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা।
      • দোলা (পালকি): রোগ ও মহামারীর সম্ভাবনা।
    • কুমারী পূজা:
      এটি দেবীর পবিত্র রূপকে সম্মান জানায় এবং নবীন প্রজন্মের শক্তির প্রতীক।


    বিজয়া দশমীর মন্ত্র

    "যাত্রা মা ত্বং গৃহান সুস্থিরা ভব" (হে মা, তুমি ফিরে যাও, তবে আমাদের জীবনে স্থিতিশীলতা এবং শান্তি রেখে যাও।)

    #দুর্গাপুজো #শারদোৎসব #বাঙালিরআনন্দ #ঐতিহ্য

  • কালীপূজা/দীপাবলি: ২০ অক্টোবর (সোমবার)

    বিশেষ উল্লেখ

    • ২০২৫ সালের দেবীর আগমন: গজে (হাতি) – যা সমৃদ্ধি ও শান্তির বার্তা দেয়।
    • ২০২৫ সালের দেবীর গমন: দোলা (পালকি) – যা শাস্ত্রমতে বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দেয়।

    উৎসবের দিনক্ষণ মেনে পরিকল্পনা করে এখন থেকেই পুজোর আনন্দ উপভোগের প্রস্তুতি শুরু করুন!

    #দুর্গাপুজো #মহালয়া #কালীপুজো #লক্ষ্মীপুজো #উৎসব

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন