মহালয়া তারিখ – ২৫ সেপ্টেম্বর রবিবার, বাংলা ৮ ই আশ্বিন। সময় – ২ টা ৫৫ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড থেকে পরের দিন রাত্রি ৩ টা ২৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড পর্যন্তর্য অমাবস্যা থাকবে। এই সময়কালেই মহালয়ার তর্পণর্প অনুষ্ঠিত হবে। ⇒ মহাপঞ্চমী শুক্রবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, বাংলা ১৩ ই আশ্বিন। ⇒ মহাষষ্ঠী তারিখ – শনিবার ১ অক্টোবর ২০২২, বাংলা ১৪ ই আশ্বিন। সময় – ৮ টা ৩৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ড পর্যন্ত। ⇒ মহাসপ্তমী তারিখ – রবিবার ২ অক্টোবর, বাংলা ১৫ ই আশ্বিন। সময় – রাত্রি ৬ টা ২১ মিনিট ৪২ সেকেন্ড পর্যন্ত। ⇒ মহাঅষ্টমী তারিখ – সোমবার ৩ অক্টোবর ২০২২ , বাংলা ১৬ ই আশ্বিন। সময় – দিন ৩ টা ৫৯ মিনিট ১৮ সেকেন্ড পর্যন্তর্য । সন্ধিপূজাঃ দিন ৩ টা ৩৫ মিনিট ১৮ সেকেন্ড থেকে দিন ৪ টা ২৩ মিনিট ১৮ সেকেন্ড পর্যন্তর্য । ⇒ মহানবমী তারিখ – ৪ অক্টোবর ২০২২, বাংলা ১৭ ই আশ্বিন। সময় – দিন ৩ টা ৫৯ মিনিট ১৮ সেকেন্ড পর্যন্তর্য । ⇒ মহাদশমী তারিখ – বুধবার ৫ অক্টোবর, বাংলা ১৮ ই আশ্বিন। সময় – দিন ১১ টা ১০ মিনিট ৭ সেকেন্ড পর্যন্তর্য ।

শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

মা গন্ধেশ্বরী পূজা গন্ধবণিকদের কুলদেবী

 মা গন্ধেশ্বরী পূজা: গন্ধবণিক সমাজের কুলদেবীর পূজার আচার, ইতিহাস ও তাৎপর্য


বাঙালি হিন্দু সমাজে বিভিন্ন বর্ণ ও পেশাভিত্তিক কুলদেবী বা কুলদেবতার পূজা এক গভীর ঐতিহ্য বহন করে। এরই মাঝে অন্যতম হলো গন্ধবণিক সম্প্রদায়ের কুলদেবী – মা গন্ধেশ্বরী। মূলত বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে এই বিশেষ দেবীর আরাধনা করা হয়। তবে এই পূজা শুধুমাত্র ধর্মীয় নয়, বরং এটি একটি পেশাভিত্তিক বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।


গন্ধবণিক সমাজ: পরিচয় ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

গন্ধবণিক একটি প্রাচীন বাঙালি বণিক শ্রেণি, যাঁরা সুগন্ধি দ্রব্য যেমন – ধূপ, ধূনা, আতর, চন্দন, কেশর, কস্তুরি, গন্ধক, প্রসাধনী, ভেষজ ইত্যাদি সামগ্রীর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ফা-হিয়েনের বিবরণেও এই শ্রেণির উল্লেখ পাওয়া যায়। সমাজে তাঁদের পেশার গুরুত্ব যেমন ছিল, তেমনই তাঁদের ধর্মীয় চেতনায় শক্তির উপাসনার গভীর ছাপও ছিল।

এই সমাজের মানুষরা বিশ্বাস করেন, তাঁদের জীবিকা, ঐতিহ্য এবং সমাজ রক্ষার জন্য এক বিশেষ শক্তির আবির্ভাব ঘটেছিল – যিনি পরবর্তীতে 'মা গন্ধেশ্বরী' নামে পূজিত হন।


পৌরাণিক কাহিনি: গন্ধাসুর বধ ও দেবীর আবির্ভাব

পুরাণ অনুসারে, প্রাচীনকালে গন্ধবণিকদের এক মহান সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় – এক অসুর, নাম গন্ধাসুর, যিনি গন্ধ সমাজ ও পৃথিবীর সৌরভ ধ্বংস করতে চেয়েছিল। এই অসুর থেকে রক্ষা পেতে সমাজের এক ধর্মনিষ্ঠা নারী গন্ধবতী কঠোর তপস্যা শুরু করেন।

তার হোমযজ্ঞে যখন গন্ধাসুর হামলা চালায়, তখন সেই হোমকুণ্ড থেকে আবির্ভূতা হন মা গন্ধেশ্বরী। তিনি সিংহবাহিনী, চতুর্ভুজা, ত্রিনয়নী দেবী। তাঁর হাতে শঙ্খ, চক্র, ধনুক ও বাণ। তিনি অসুরকে বধ করেন এবং গন্ধবণিক সমাজকে রক্ষা করেন।

এরপর থেকে তাঁকে কুলদেবী হিসেবে মান্য করা হয়।


গন্ধেশ্বরী ও শক্তির অন্যান্য রূপ

শাক্ত ধর্মমতে, সকল দেবী এক আদিশক্তির বিভিন্ন রূপমাত্র। মা দুর্গা, মনসা, চণ্ডী, বনদেবী, ষষ্ঠী, শীতলা – এঁরা সকলেই একই শক্তির বহু রূপ। মা গন্ধেশ্বরী সেই আদিশক্তিরই একটি বিশেষ রূপ, যিনি গন্ধবণিক সমাজে আরাধিত হন।

শ্রী শ্রী গন্ধেশ্বরী পূজা ২০২৫

পূজার নির্দিষ্ট তারিখ

  • পূজা দিবস: সোমবার

  • তারিখ (বাংলা): ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

  • তারিখ (ইংরেজি): ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ

এই দিনে গন্ধবণিক সমাজের কুলদেবী মা গন্ধেশ্বরী-র আরাধনা অনুষ্ঠিত হবে। পূর্ণ চৈতন্য ও ভক্তিভরে দেবীর পূজা করা হবে বৈশাখী পূর্ণিমায়। এই পুণ্যতিথিতে দেবীকে ধূপ, ধূনা, আতর, চন্দন, মধু, ফুল ও ফল নিবেদন করে পেশাগত সাফল্য ও সামাজিক কল্যাণ কামনা করা হয়।

গন্ধবণিক সম্প্রদায়ের এই পূজা শুধুমাত্র একটি কুলদেবীর পূজা নয়, এটি একটি সংস্কৃতি, একটি বিশ্বাস, একটি ঐতিহ্য এবং শক্তির আরাধনা। বৈশাখী পূর্ণিমায় এই পূজার মধ্য দিয়ে মানুষ ধ্যান করে প্রকৃতির, শক্তির, সুগন্ধের – অর্থাৎ সৌন্দর্যের।

আজকের দিনে যখন অনেকেই তাঁদের প্রাচীন শিকড় ভুলে যাচ্ছেন, তখন এই পূজা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, ঐতিহ্যই আমাদের পরিচয়।

#গন্ধেশ্বরী_পূজা #গন্ধবণিক_সমাজ #বাংলার_ঐতিহ্য #শক্তিরূপা #মা_দুর্গার_রূপ #শাক্ত_ধর্ম #বৈশাখীপূর্ণিমা #গন্ধাসুর_বধ #হিন্দুধর্ম_পূজা #গন্ধেশ্বরী_পূজা_২০২৫

শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

২০২৫ সালের দুর্গাপূজা, কালীপূজা, লক্ষ্মীপূজার তারিখ এবং বিস্তারিত


দুর্গাপূজা শেষ হলেও বাঙালির উৎসবের দিনপঞ্জি এখানেই থেমে থাকে না। লক্ষ্মীপূজা, কালীপূজা, দীপাবলি, ভাইফোঁটা—উৎসবের আবহে মেতে থাকার জন্য দিন গুনছেন অনেকে।

দুর্গাপূজা বাঙালির অন্যতম বড় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় আচার নয়, বরং আনন্দ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সামাজিক মেলবন্ধনের প্রতীক। 

২০২৫ সালের পুজোর নির্ঘণ্ট:

  • মহালয়া:
    পিতৃপক্ষের সমাপ্তি এবং দেবীপক্ষের সূচনা। এই দিনে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে পৃথিবীতে আহ্বান জানানো হয়। ২১ সেপ্টেম্বর (রবিবার)
  • ষষ্ঠী: এই দিনে দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ এবং অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার)
  • সপ্তমী: কলাবউ (নবপত্রিকা) স্নান করানো হয় এবং মূল পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।২৯ সেপ্টেম্বর (সোমবার)
  • অষ্টমী: 
  • কুমারী পূজা এবং সন্ধিপূজা এই দিনের বিশেষ আকর্ষণ। সন্ধিপূজায় দেবী চামুণ্ডার মহিষাসুর বধের ঘটনা স্মরণ করা হয়।৩০ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার)

  • নবমী: মহিষাসুর বধের চূড়ান্ত পর্ব। দিনটি শক্তির জয় উদযাপন করে।১ অক্টোবর (বুধবার)

  • বিজয়া দশমী: বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে দেবীকে বিদায় জানানো হয়।২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার)
  • লক্ষ্মীপূজা: ৬ অক্টোবর (সোমবার)
  • বাংলাদেশ:
    দুর্গাপূজা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উৎসব, যেখানে এটি ‘শারদীয় দুর্গোৎসব’ নামে পরিচিত। বিশেষ করে ঢাকেশ্বরী মন্দির, চট্টগ্রামের পাথরঘাটা, এবং বরিশাল অঞ্চলের পূজাগুলো বিখ্যাত।

  • ভারত:
    পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ওডিশা, বিহার এবং ত্রিপুরায় এটি সবচেয়ে বেশি জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়। কলকাতার দুর্গাপূজাকে ২০২১ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

  • বিদেশে:
    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাঙালিরা দুর্গাপূজা পালন করেন।


  • দুর্গাপূজার সাংস্কৃতিক দিক

    • থিম পুজো:
      আধুনিককালে থিমভিত্তিক মণ্ডপ তৈরি একটি নতুন ধারা। প্রতিটি মণ্ডপ আলাদা আলাদা থিমের মাধ্যমে সামাজিক বার্তা দেয়।

    • ধুনুচি নাচ:
      এটি পূজার গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সন্ধ্যারতি শেষে অনুষ্ঠিত হয়।

    • অঞ্জলি ও প্রসাদ:
      অষ্টমী ও নবমীতে অঞ্জলি দেওয়ার প্রথা এবং ভোগ প্রসাদ নেওয়া পূজার বিশেষ আকর্ষণ।


    বিশেষ আকর্ষণ

    • দেবীর আগমন ও গমন:
      শাস্ত্র অনুযায়ী দেবীর আগমন ও গমনের বাহন সুখ-দুঃখের প্রতীক।

      • গজ (হাতি): শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা।
      • দোলা (পালকি): রোগ ও মহামারীর সম্ভাবনা।
    • কুমারী পূজা:
      এটি দেবীর পবিত্র রূপকে সম্মান জানায় এবং নবীন প্রজন্মের শক্তির প্রতীক।


    বিজয়া দশমীর মন্ত্র

    "যাত্রা মা ত্বং গৃহান সুস্থিরা ভব" (হে মা, তুমি ফিরে যাও, তবে আমাদের জীবনে স্থিতিশীলতা এবং শান্তি রেখে যাও।)

    #দুর্গাপুজো #শারদোৎসব #বাঙালিরআনন্দ #ঐতিহ্য

  • কালীপূজা/দীপাবলি: ২০ অক্টোবর (সোমবার)

    বিশেষ উল্লেখ

    • ২০২৫ সালের দেবীর আগমন: গজে (হাতি) – যা সমৃদ্ধি ও শান্তির বার্তা দেয়।
    • ২০২৫ সালের দেবীর গমন: দোলা (পালকি) – যা শাস্ত্রমতে বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দেয়।

    উৎসবের দিনক্ষণ মেনে পরিকল্পনা করে এখন থেকেই পুজোর আনন্দ উপভোগের প্রস্তুতি শুরু করুন!

    #দুর্গাপুজো #মহালয়া #কালীপুজো #লক্ষ্মীপুজো #উৎসব

মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সেকালের জমিদার বাড়ির দূর্গা পূজা

 সেকালের জমিদার বাড়ির দূর্গা পূজা

-শুভ জিত দত্ত


বাংলার জমিদার বাড়ির ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজা শুধু ধর্মীয় উৎসব ছিল না, এটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, এবং রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করত। জমিদারগণ ছিলেন বাংলার কৃষি, প্রশাসন, ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দু, আর তাদের দুর্গাপূজা ছিল ঐশ্বর্য ও ক্ষমতার এক বিশাল প্রদর্শনী। মূলত, জমিদারদের পূজা শুধু দেবী দুর্গার আরাধনা নয়, বরং তাদের সামাজিক প্রতিষ্ঠা ও প্রভাবের প্রতীক হিসেবেও দেখা হয়।
দুর্গাপূজার প্রস্তুতি জমিদার বাড়িতে মাসখানেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যেত। প্রতিমা তৈরির জন্য কারিগরদের নিয়ে আসা থেকে শুরু করে , আর দেবীর মূর্তি বিশাল ও আকর্ষণীয়ভাবে তৈরি করা হতো। মূর্তির সৌন্দর্য ও বিশালত্ব ছিল জমিদারের আভিজাত্য এবং শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক। এই পূজা উপলক্ষে সারাদেশ থেকে শিল্পী, কারিগর, এবং পূজার সামগ্রী সংগ্রহ করা হত। জমিদার বাড়ির বড় দালান, পাটকেল ঘর বা নাটমন্দিরে প্রতিমা স্থাপন করা হতো, যা স্থানীয় জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকত।
দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতো মহালয়া থেকে। চণ্ডীপাঠ, আরতি, এবং অন্যান্য আচার-অনুষ্ঠান জমিদার বাড়ির পুরোহিতরা সম্পন্ন করতেন। প্রতিদিনের পূজায় বিপুল সংখ্যক ভক্ত উপস্থিত থাকত, এবং জমিদারদের রাজকীয় সব আয়োজন এর মধ্যে দিয়ে। পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন জমিদার বাড়ির প্রাঙ্গণ ছিল সজ্জিত ও উৎসবমুখর।
বিভিন্ন নাটক, যাত্রা, ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হতো। এই পূজার মাধ্যমে জমিদারেরা তাদের প্রজা ও আশেপাশের মানুষদের সঙ্গে এক ধরনের সামাজিক বন্ধন তৈরি হতো। এক্ষেত্রে পূজার ভোগ বিলি এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষদের অংশগ্রহণ এক ধরনের সাম্যবাদের ইঙ্গিত বহন করতে লক্ষ্য করা যায়।

জমিদাররা দুর্গাপূজার মাধ্যমে শুধু ধর্মীয় দিক নয়, তাদের রাজনৈতিক প্রভাবও বিস্তার করতেন। ব্রিটিশ আমলে জমিদাররা ইংরেজদের আনুকূল্য লাভের জন্য বড়ো আকারের পূজা আয়োজন করতেন, যেখানে ইংরেজ শাসক বা উচ্চপদস্থ কর্মচারীরাও আমন্ত্রিত হতেন। তাদের উপস্থিতি জমিদারদের ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই দেখা হত। অন্যদিকে, পূজার মাধ্যমে জমিদারগণ তাদের প্রজাদের ওপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাও চালাতেন।
পূজা শেষে বিসর্জনের দিনটিও ছিল জমিদার বাড়ির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধূমধাম করে দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেওয়া হত, এবং এই বিসর্জন অনুষ্ঠান ছিল এক ধরনের সামাজিক মিলনমেলা। প্রজারা জমিদারের প্রতি তাদের ভক্তি ও আনুগত্য প্রকাশ করত, এবং এক ধরনের পারিবারিক বন্ধনের মতো সম্পর্ক গড়ে উঠত।
জমিদার বাড়ির দুর্গাপূজা একদিকে যেমন ধর্মীয় আচার, তেমনই তা ছিল সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক এক বিশাল আয়োজন। সময়ের সাথে জমিদার প্রথার অবসান ঘটলেও, তাদের পূজা আয়োজনের ঐতিহ্য আজও অনেক জায়গায় জীবিত আছে।
দুর্গাপূজার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান ছিল বিজয়া দশমী। এই দিনটি ছিল দেবী দুর্গার বিসর্জনের দিন। বিসর্জন প্রক্রিয়াটি বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে পরিচালিত হত, যেখানে জমিদার এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নিতেন। প্রচুর বাজনা, ঢাক, কাঁসা ও শঙ্খধ্বনির মধ্যে দেবীকে গঙ্গা বা নিকটস্থ পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হত। এই সময়ে প্রজাদের মনেও জমিদারদের প্রতি ভক্তি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পেত, এবং জমিদারদের সেবার প্রতীক হিসেবে তাদের দিকে উপহার ও শুভেচ্ছা প্রদান করা হতদুর্গাপূজা ছিল জমিদারগণের সামাজিক ক্ষমতা জাহির করার একটি মাধ্যম। এই উৎসবের মাধ্যমে জমিদারগণ নিজেদের আধিপত্য ও প্রভাবকে মজবুত করতেন এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে নিজেদের মর্যাদা বাড়াতেন। প্রজারা জমিদারদের এই আয়োজনকে সম্মানের চোখে দেখত, এবং পূজার সময় প্রজাদের প্রতি জমিদারদের উদারতা তাদের অনুগত রাখার কৌশল হিসেবেও কাজ করত।সেকালের জমিদার বাড়ির দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসবই ছিল না, এটি বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। জমিদারগণ পূজার মাধ্যমে তাদের প্রভাব ও ক্ষমতাকে আরও সুদৃঢ় করতেন। যদিও আজকের দিনে জমিদার প্রথার অবসান ঘটেছে, তবে তাদের এই ঐতিহ্যবাহী পূজা বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অঙ্গ হিসেবে এখনও অনেক জায়গায় বিদ্যমান।

মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩

এই বছর ২০২৩ কবে কখন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কালীপূজো, ভাইফোঁটা,ভুত চতুর্দশী আর ধনতেরাস

 এই বছর ২০২৩ কবে কখন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কালীপূজো, ভাইফোঁটা,ভুত চতুর্দশী আর ধনতেরাস

চলুন জেনে নিই এই বছর উক্ত অনুষ্ঠানের সময় সূচি সমূহ উৎসব যেন শেষ হয়েও হয়না শেষ লক্ষ্মী পূজার পর ১০ই নভেম্বর ধনতেরাস বা ধনত্রয়োদশী পড়েছে এবছর। কালী পূজার আগে কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশীতে তিথিতে প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এই দিনে কেউ যদি স্বর্ণ কিংবা এই জাতীয় কিছু ক্রয় করে তাহলে দেবীর বিশেষ আশীর্বাদ প্রাপ্ত হন।

আর ভূত চতুর্দশী পড়ছে এ বছর ১১ই নভেম্বর এই দিন ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয়ে থাকে এবং চৌদ্দ শাক খাওয়ার বিধান আছে। প্রচলিত আছে যে এই মুহূর্তে চৌদ্দ পুরুষেরা আমাদের এই লোকে ফিরে আসে এবং আমরা তাদেরকে উদ্দেশ্য করে চৌদ্দ প্রদীপ নিবেদন করি যাতে তারা স্বর্গের দ্বারে প্রবেশ করতে পারে।

২০২৩ সালে ১২ ই নভেম্বর বাংলা ২৫শে কার্তিক রবিবার দীপান্বিতা কালী পূজা বা দীপাবলি অমাবস্যার অন্ধকার দূর করতে এই দিনের বাঙালির ঘরে ঘরে আলোকসজ্জা আর নানা আয়োজনে আলোর ছটায় ভরিয়ে দেওয়া হয়।

এবছর ভাইফোঁটা অর্থাৎ ভাতৃ দ্বিতীয়া পড়ছে ১৪ই নভেম্বর মঙ্গলবার বোনেরা এই দিনে ভারতের মঙ্গল কামনায় জমির দরে কাটা বিছিয়ে দেয় এবং ভাইদের কপালে একটি বিশেষ মঙ্গল টিকা পরিয়ে দেয়।



রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩

পূজা দেখা ২০২৩

 শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাব 

শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাব এবারের পূজার থিম ডিজনী এবারে মহালয়া থেকে শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাবের পূজায় তিল ধারণের ঠাঁই নেই উপচে পড়া ভিড়। এবছর প্রথমার আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে ঠাকুর দেখা।২০২৩  এবছর শ্রীভূমি স্পোটিং ক্লাবে এবছর তাই জমজমাট আয়োজন।।







বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নিউইয়র্কে দূর্গা পূজা

 বাঙ্গালীর সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা এই বছরও বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্কে জ্যাকসন হাইটস ডাইভারসিটি প্লাজা দুর্গাপুজা ২০২৩ উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় বারের মত আগামী ২০শে অক্টোবর থেকে ২৪শে অক্টোবর২০২৩ অনুষ্ঠিত হবে । 

২০শে অক্টোবর ২০২৩ পুজার উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বাঙ্গালীর গৌরব ও বিশ্ববানিজ্য ব্যক্তিত্ব শ্রী কালী প্রদীপ চৌধুরী , প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন নিউইয়র্কের মাননীয় মেয়র এরিক এ্যাডামস , সহ পৃষ্টপোষক হিসাবে থাকবেন কাউন্সিল ম্যান শ্রী শেখর কৃষ্ণান ও এসেম্বলী ম্যান স্টেফেন রাঘা । এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন শ্রী দিলীপ চৌহান ,ডেপুটি কমিশনার , ট্রেড এন্ড ইনোভেশন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিস , কুইন্স ডিষ্ট্রিক্ট এ্যাটনী ম্যালিন্ডা কাটস , ক্যাটালিনা ক্রুজ , নির্বাচিত কংগ্রেস গ্রেস ম্যাং , সিনেটর জেসিকা রামোস ও জেনিফার রাজকুমার । সংগীতানুষ্ঠানে থাকবেন কোলকাতা ও বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিল্পীবৃন্দ । এই মহা আয়োজনে আপনাদের স্বাগত ।




সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩

পুজোর একাল সেকাল

 হারিয়ে যাচ্ছে সাবেকি আনা 


একটা সময় ছিল দূর্গা পূজার সীমাবদ্ধ ছিল রাজবাড়ি ও জমিদার বাড়ির মধ্যে।দূর্গা পূজা আয়োজন করা সাধারণ মানুষের কাছে অসম্ভব ব্যাপার এটি যথেষ্ট ব্যয়বহুল ছিল। যেহেতু ধনী বনেদি পারিবারে আয়োজন করা হতো সেই কারণে এই পূজা বনেদি বাড়ির পূজা নামে পরিচিতি লাভ করে। বনেদি পরিবারের আয়োজন হওয়ার কারণে তারা যথেষ্ট ব্যয় করতো এই পাঁচ দিনের আয়োজনে এমনকি স্থানীয় প্রজাদের জন্য থাকতো খাবারের আয়োজন। তারা এই পূজা গুলোতে যথেষ্ট আচার ও নিয়ম কানুন এর মধ্য দিয়ে পালন করতো খুব নিষ্ঠার সাথে যার কারণে অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমতো তাদের এই আয়োজন দেখতে আর দেবী প্রতিমা রাখার জন্য যে একটি ঘর তৈরি হয় সেটি ঠাকুর দালান নামে পরিচিত লাভ করে। লোকমুখে প্রচলিত আছে বাংলাদেশের রাজশাহীর তাহেরপুরের রাজা কংসনারায়ণের হাত ধরে দূর্গা পূজার সূচনা হয়। প্রচলিত আছে তিনি সেই সময়ে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা ব্যয় করে এই পূজার আয়োজন করে যা তৎকালীন সময়ে সব থেকে বড় আয়োজন ছিল সময় টা ছিল ষোড়শ শতকের যতটুক লোক মুখে শোনা যায়।তার অনেক পরে যখন সকলে উপলদ্ধি করলো এটা কেন শুধু তাদের অধীনে থাকবে তখন বারো জন ব্রাহ্মণ বন্ধু মিলে ১৭৯০ সালের দিকে হুগলির জেলার গুপ্তি পাড়ায় দূর্গা পূজার জন্য চাঁদা তুলে ৪০০টাকা দিয়ে সর্বজনীনভাবে করার সিদ্ধান্ত নেয় তখন থেকেই এটা বারোয়ারী পূজা হিসাবে প্রচলিত হয়। বারোয়ারি হচ্ছে সার্বজনীন পূজা যেটি সকলে একত্রিত হয়ে সম্মিলিত ভাবে অর্থ সংগ্রহ করে এই পূজার আয়োজন করতে হয়। এইভাবে মূলত বনেদি বাড়ি ছেড়ে সর্বজনীনতা লাভ করে দূর্গা পূজা। এর ফলে দেখা যায় যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পুজোর সংখ্যা কমতে থাকে এর পেছনে অবশ্যই বারোয়ারী পূজার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। ভারতের শুধু পশ্চিমবাংলা না বাংলাদেশ এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বর্তমানে বারোয়ারী বা সার্বজনীনভাবে দূর্গাপূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে। বলে রাখা ভালো বারোয়ারি পূজার জনপ্রিয়তা পাওয়ার আরেকটি মূল কারণ হচ্ছে বনেদি বাড়ির পূজাগুলোতে তাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের বাইরে কারো প্রবেশ বা অংশগ্রহণে তেমন সুযোগ থাকত না। সাধারণ মানুষের জন্য শুধু দুপুরের পুজোর ভোগের প্রসাদ বিতরণ করা হতো এবং দূর থেকে প্রতিমা দেখার সুযোগ হতো। মূলত এ সকল কারণে বনেদি বাড়ি ছেড়ে বারোয়ারি পূজো বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করে। মূলত চাহিদা ও জনপ্রিয়তার কারণে বারোয়ারি পূজার গুরুত্ব বাড়তে থাকে প্রতিনিয়ত। কলকাতায় ১৮৬০ সালে একটি পূজা কমিটির উদ্যোগে বারোয়ারি পূজা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে তখন থেকে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে যায় এবং বিভিন্ন পূজা কমিটি গঠিত হতে থাকে। বারোয়ারি পূজাতে যথেষ্ট খরচের একটি বিষয় থাকে যেহেতু সকলে মিলে আয়োজন করে আর এই কারণে বেশ অর্থ যোগাতে হয় আর এই কারণে মূলত চাঁদার জন্য মানুষদের অনেক হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। তারপর শুরু হল বিভিন্ন কমিটির মধ্যে অসম প্রতিযোগিতা বাড়তে থাকে চাঁদের পরিমাণ হারিয়ে যেতে থাকে দূর্গা পূজার পুরোনো জৌলুস বিভিন্ন থিমে। পরিবর্তন হয় দেবী প্রতিমার অবয়ব এমনকি দূর্গা পূজার প্যান্ডেলে আসে বড় ধরনের পরিবর্তন। ঢাকা পড়ে যায় সাবেকি আনা হারিয়ে যায় মায়ের পরিচিত মুখ।আগে যেখানে প্রাধান্য দেয়া হতো ভক্তিমূলক গান এবং নানা আচার আনুষ্ঠানিকতার দিকগুলো এখন প্রাধান্য দেয়া হয় হিন্দি গান । ভক্তি জায়গাটাও অনেকটা নড়বড়ে হয়ে গেছে, রাত জেগে শুধু থিম পূজা দেখা আর খাওয়া-দাওয়ার এখানেই উৎসব এর পূর্ণাঙ্গতা। ঢাকা পড়েছে মায়ের মৃণ্ময়ী রূপের প্রতিমা গড়নে মায়ের আসল রূপ খুঁজে পাওয়া যায় না মায়ের প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় না সাবেকি উপাদান সমূহ বর্তমানে যা তা ব্যবহার করে মায়ের প্রতিমা নির্মাণ করা হয় এই নিয়ে অনেকে প্রতিবাদও করেছেন প্রতিমা নিয়ে এযেন ছেলে খেলা। দূর্গাপূজায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও কোথাও যেন ভাঁটা পড়েছে সাবেকি প্রতিমা চিরচেনা মায়ের মুখ ঢুকেছে অসম প্রতিযোগিতা। বিজ্ঞাপন আর বাণিজ্যিক করণ স্পনসরশিপ এর ভীরে কোথাও যেন হারিয়ে গেছে শিউলি ফুলের গন্ধ আর কাশফুলের মাঝে দোলা দিয়ে নীল আকাশে সাদা মেঘের আহ্বান।।



লেখনী: শুভ জিত দত্ত

মহেশপুর , ঝিনাইদহ,বাংলাদেশ

শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩

দূর্গা পূজা ২০২৩ সময় সূচি

কবে হচ্ছে এবারের ২০২৩ দূর্গপূজা  চলুন তবে দেখে নিই এবারে পূজার যাবতীয় সময় সূচি এই বছর পূজা হবে অক্টোবরের শেষের দিকে তাই হালকা শীতের আমেজ ও পাচ্ছেন এবারের পূজাতে ।মনে মনে তো বটেই পুজো উদ্যোক্তাদের কাছেও এই বছর বেশ অনেক আগে থেকে পূজো প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।

১৪৩০ বঙ্গাব্দে দুর্গাপুজো পড়েছে কার্তিকের শুরুতেই। তবে এবার দেবীপক্ষের শুরু হবে  আশ্বিন মাসের শারদ প্রাতেই। ২৭ আশ্বিন মহালয়া ইংরাজী তারিখ অনুযায়ী ১৪ অক্টোবরে।
এবছর মহাষষ্ঠী পালিত হবে ২০ অক্টোবর শুক্রবার।মহাসপ্তমী পালিত হবে ২১ অক্টোবর শনিবার মহাঅষ্টমী ২২ অক্টোবর রবিবার।মহানবমী পালিত হবে ২৩ অক্টোবর সোমবার। বিজয়া দশমী পালিত হবে ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার।

এবছর দেবীর আগমন হবে ঘোটক অর্থাত্‍ ঘোড়ায়। শাস্ত্র অনুসারে এর ফল "ছত্র ভঙ্গ স্তুরঙ্গমে" অর্থাৎ সামাজিক, রাজনৈতিক ও সামরিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায় এই বার্তা পাওয়া যায় এর ফলে রাজায়-রাজায় বা রাষ্ট্রে-রাষ্ট্রে যুদ্ধ সূচিত হয় যার ফলে অনেক প্রাণ হানির আশংঙ্খা থাকে। সামাজিক ও রাজনৈতিকস্তরে ধ্বংস ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। 

দেবীর গমনও হবে ঘোটক বা ঘোড়াতেই। এই বছর দেবীর আগমন ও গমন একই বাহনে হওয়ায় তা অত্যন্ত অশুভ ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করা হচ্ছে।
১২ নভেম্বর, রবিবার পড়েছে কালী পুজো ।লক্ষ্মী পুজো পড়েছে ২৮ অক্টোবর, শনিবার   নভেম্বর, মঙ্গলবার পড়েছে ভাইফোঁটা।


বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩

দূর্গার পুজা

দূর্গা পুজা

পূজা প্রারম্ভ হয় পূজা চতুর্দশী তিথি অথবা মহালয়া আরম্ভে। এই দিনে দূর্গার জন্ম দিবসে তাঁকে জাগ্রত করা হয়। পূজা অবধি দূর্গার প্রতিমা বা পুঞ্জির প্রথম দিন প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর চলমান পঞ্চদেবতা (দেবী দুর্গা ও তাঁর পাঁচজন মাতৃসত্ত্বরা) পুজা করা হয়। এই পুজা সময়ে সাধারণত অল্প অল্প দিনেই ভাষান্তর করে যায়। চলমান পঞ্চদেবতার জন্য বিভিন্ন ভাবে পুজা করা হয়, সেগুলি হল:
১. কলাবৌ পূজা: এখানে কলাবৌ মাধবী, দূর্গা ও তাঁর অন্যান্য সঙ্গীসহ পূজা করা হয়। পূজা এই পদ্ধতিতে একদিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়।
২. ষোড়শী পূজা: এখানে দূর্গা পূজা চলমান ষোড়শী তিথির সময় আরম্ভ হয়। প্রথম পঞ্চদেবতা পূজা শেষ হওয়ার পর এখানে মহিষাসুর মর্দিনী পূজা করা হয়।
৩. মহাসপ্তমী পূজা: এই পদ্ধতিতে সপ্তমী তিথির দিন থেকে পূজা শুরু হয়। এখানে সপ্তমী তিথি থেকে দশমী তিথির পর্যন্ত দূর্গার পুজা চলতে থাকে।
৪. নবমী পূজা: এই পদ্ধতিতে দূর্গার পুজা নবমী তিথির দিন থেকে শুরু হয়। এই পুজা অবধি চলতে থাকে একটি পূর্ব অনুষ্ঠানের সাথে। পূজার শেষে দূর্গার প্রতিমা নবমী রাতে বিসর্জন করা হয়।
৫. দশমী পূজা: এই পদ্ধতিতে দশমী তিথির দিন দূর্গা পুজা সমাপ্ত হয়। এই দিন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় উৎসব হিসাবে পরিচিত। এই দিনে দূর্গার প্রতিমা নদীর বা অন্য জলারোধের দিকে বিসর্জন করা হয়।


শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

'ZEE বাংলা'-র বিশেষ নিবেদন

দেবী আসছেন ঠিক মাতৃপক্ষের সূচনা লগ্নে মহালয়ার ভোর সবার অপেক্ষা বছর জুড়ে ঘড়ির কাটা ঠিক ভোর ৫টা চোখ রাখা টিভির পর্দায় শুরু হয়ে যায় মহালয়ার পুণ্যতিথিতে আবির্ভূতা হবেন দেবী সিংহবাহিনী ত্রিনয়নী।  দেবীর নানা রূপের নানান কাহিনী নিয়ে আসছে সিংহবাহিনী ত্রিনয়নী। ২৫শে সেপ্টেম্বর মহালয়ায় ভোর ৫:০০টায় দেখুন, 'ZEE বাংলা'-র বিশেষ নিবেদন - "সিংহবাহিনী ত্রিনয়নী"।



বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

একডালিয়া এভারগ্রিন ২০২১

 একডালিয়া এভারগ্রিন ২০২১


দক্ষিণ কলকাতার  অন্যতম পুজো একডালিয়া এভারগ্রিন।সাবেকিয়ানার ছোঁয়া নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও মাতৃপ্রতিমার ভূবনমোহিনী রূপ  তারা তুলে ধরেছে।দেবীর বোধন না হলেও ঢাকের বোলে মুখরিত একডালিয়া সনাতনী মৃণ্ময়ী রূপে মাতৃপ্রতিমা। সারা মণ্ডপ জুড়়ে অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিলের কারুকার্যের মূর্তি। 


শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব

 


শ্রীস্পোটিং ক্লাব ২০২২

এই বছরের আয়োজনে থাকছে রোমের ভ্যাটিকান সিটি সেন্ট পিটারের ব্যাসিলিকা গির্জা

এর আগের বছর ছিল বুর্জ খলিফা এবছরও পুজোপ্রেমীদের মন জয় করতে নতুন আকর্ষণ নিয়ে আসছে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব যা নজর কাটবে সবার দ্বিতীয় বৃহত্তম গির্জা এবার হাজির হবে পুজো প্যান্ডেলে।



বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২

শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব ২০২১

শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব ২০২১


পৃথিবীর উচ্চতম নির্মাণ 'বুর্জ খলিফা' দেখতে আর দুবাই যাওয়ার দরকার নেই। খাস কলকাতার বুকে একটু একটু করে মাথা দাঁড়াচ্ছে সেই গগনচুম্বী অট্টালিকা।











সুরচি সংঘ ২০২১

সুরচি সংঘ ২০২১


সুরচি সংঘ ২০২১ এর ভাবনায় আবদার

সৃজনেঃ শ্রী রিন্টু দাস




পূজোর খবর

 

বাঙালীদের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা এই উৎসব শুধু ভারত বর্ষে নয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এখন উদযাপন করা হয়।নিউইয়র্কের দূর্গা পূজা কলকাতার মতো বেশ  অয়োজন করে করা হয়  এখানে মহালয়া থেকে দশমী পযন্ত  এই দশ দিন নানা প্রথা ও আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আয়োজন করা হয়। এখানে প্রায় ১৯৭০ সাল থেকে থেকে শুরু হয়ে ছিল যা ৫০টি  রাজ্যে শারদীয় দূর্গা পজো উদযাপন করা হয়।আমেরিকার ইতিহাসে এই বার প্রথম উন্মুক্ত স্থান ডাইভারসিটি প্লাজা দুর্গা পুজা , জ্যাকসন হাইটস , নিউইয়র্ক , আমেরিকায় বেঙ্গলী ক্লাব , ইউ এস এ এর আয়োজন করা হয়। সেই আয়োজন উপলক্ষে  “ মিট দা প্রেস “ নামে সাংবাদিক সন্মেলনের আয়োজন করা হয় ।এই আয়োজেন মূল বিষয় ছিল ইউনেস্কোর তালিকায় স্থান পেল বাঙালির প্রধান উৎসব দুর্গাপুজো। ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুজোকে। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল,বলিভিয়ার মতো বিশ্বের মাত্র ৬ দেশের উৎসব এখনও পর্যন্ত -UNESCO র স্বীকৃতি পেয়েছে।আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর এই বছরও  বেঙ্গলি ক্লাব ইউএসএ'র আয়োজনে বাঙালির  সবচেয়ে বড় এ উৎসবে যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন ধর্মের মানুষ।বুধবার (৩১ আগস্ট) এ উপলক্ষে আয়োজিত 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে আয়োজকরা জানান, পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছেন তারা। এবার দুর্গাপুজার এই আয়োজন সফল করতে সর্বাত্মক এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ধর্মাম্বলী মানুষ। ১ অক্টোবর উৎসবের প্রথমদিন ষষ্ঠীতে পুজোর উদ্বোধন করবেন বিশ্ব বাঙালি ব্যক্তিত্ব, সমাজসেবক ধনকুবের ব্যবসায়ী ডা. কালী প্রদীপ চৌধুরী।পুজার অন্যান্য দিনগুলোতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন মার্কিন কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেং, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জেসিকা রেমোস, এসেম্বলিওমেন ক্যাটালিনা ক্রুজ, এসেম্বলিওমেন জেনিফার রাজকুমার, জ্যাকসন হাইটসের কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান-সহ জ্যাকসন হাইটসের ব্যবসায়ীরা। ডাইভারসিটি প্লাজা দুর্গাপুজার আহ্বায়ক দীনেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন,

বাঙালির দুর্গাপুজা এখন ইউনেস্কো ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটির অংশ। এটি আমাদের অহংকারের, গর্বের। এই উপলক্ষে প্রথমবারের মতো আমরা জাতি, সম্প্রদায়, দল-মত নির্বিশেষে সার্বজনীন ভাবে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে শারদীয় উৎসব পালনের উদ্যোগ নিয়েছি।পুজা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সনজিত কুমার ঘোষ বলেন, নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে উন্মুক্ত সড়কে প্রথমবারের মতো দুর্গাপুজার আয়োজন হচ্ছে। এতে করে সর্বস্তরের মানুষের পুজো দেখার সুযোগ মিলবে।প্রধান সমন্বয়কারী গোপাল স্যানাল বলেন, করোনা মহামারির আগে আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা রমজান মাসে জ্যাকসন হাইটসে ইফতার আয়োজন করেছিলাম। এবার মুসলমান-সহ বিভিন্ন ধর্মাম্বলীরা যেভাবে পুজো আয়োজনে এগিয়ে এসেছেন তাতে এটি সার্বজনীন শারদীয় উৎসবে পরিণত হচ্ছে। এখানে দুই বাংলার বাঙালিরা থাকবেন।প্রচার প্রকাশনা ও মিডিয়া কমিটির প্রধান সাংবাদিক মো. আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্বের বাণিজ্যিক রাজধানী নিউইয়র্ক সম্প্রীতির শহর। এ শহরে এমনও স্থান রয়েছে যেখানে মসজিদ-মন্দির পাশাপাশি অবস্থিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় আমরা প্রথমবারের শুধু পুজাই করছি না, এটিকে প্রকৃত অর্থে সার্বজনীন উৎসবে রূপ দিচ্ছি।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সঙ্গীত শিল্পী মনিকা রায়, জ্যাকসন হাইটস ডাইভারসিটি প্লাজা দুর্গাপুজা পরিচালনা কমিটির সদস্যদের মধ্যে পুজা পরিচালনা বিষয়ক সম্পাদক সনাতন শীল ও সুরুজ শীল, শৃঙ্খলা ও ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছাদেক শিবলী।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুর্গাপুজা উপলক্ষে একটি বিশেষ প্রকাশনা "শারদ সম্প্রীতি" বের হবে। এর সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন সাংবাদিক হাসানুজ্জামান সাকী।প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিশ্বের কয়েকটি দেশের সংস্কৃতি ইউনেস্কো ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বাঙালির দুর্গাপুজা তার মধ্যে একটি।

সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০২২

পূজোর খবর

পূজোর খবর

একটি বছরের অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে আর সেজে উঠছে পাড়ার আর ক্লাবের প্যান্ডেল গুলো  নজর কারা আলোক সজ্বা আর মতো মাথানো থিম নিয়ে হাজির হচ্ছে সবাই। উৎসব আমার উৎসব আপনার উৎসব আমাদের সকলের দক্ষিণ পাড়া দূর্গোৎসব কমিটির এবারের শারদৎসবে তাদের এবারের ব্র্যান্ড  অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় অভিনেত্রী মানসী ঘোষ ।তাই সকলকে আমন্ত্রন জানাই পূজা মন্ডপের কমিটির পক্ষ থেকে আপনারা সবান্ধবে উপস্থিত হয়ে সাফল্যমন্ডিত করে তুলুন তাদের এই আয়োজন।

সৃজনে : পাপাই সাঁতরা

প্রতিমা : দীপঙ্কর পাল

আবহ  : সৈকত দেব

আলোক নির্দেশনায় : কুণাল পাঠক


রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২

দেবীর আগমন ও গমন

 দেবীর আগমন ও গমন

প্রত্যেক বছর দেবী  আমাদের মাঝে আসেন ভক্তদের দর্শন দিতে তবে তিনি আগমন গমনের জন্য বিভিন্ন বাহন ব্যবহার করেন প্রত্যেক বাহনের শুভ ও অশুভ ফল থাকে । দেবীর আগমন ও গমন কোন বাহনে তার উপর নির্ভর করে গোটা বছর পৃৃথিবীবাসীর কেমন যাবে। বছরের নতুন পঞ্জিকা তে মা দূর্গার আগমন ও গমনের ফল লিপিবদ্ধ থাকে। এ সম্পর্কে গ্রন্থে বলা হয়েছে প্রতি বছর সপ্তমী ও দশমী কী বার পড়ছে তার উপর নির্ভর করে দেবী কি সে আসবেন ও যাবেন।এ ছাড়া আরো বলা হয়েছে যে বছর দেবীর আগমন  ও গমন একই বাহনে ঘটে সেই বছর অত্যন্ত অশুভ হিসেবে ধরা হয়।এমন টা হয়েছিল ২০১৯ সালে যার ফল পৃথিবী বাসী ভোগ করেছে ।

কোন বারে আগমন ও গমন হলে কি বাহন ঃ

সপ্তমী ও দশমী তিথি সোমবার বা মঙ্গলবার হলে দেবী দুর্গার আগমন বা গমন হয় গজে।শনিবার অথবা মঙ্গলবার ঘটকে আগমন বা গমন হয়।বুধবার দেবী দুর্গার আগমন ও গমন হয় নৌকায়।আবার বৃহস্পতি বা শুক্রবার দোলায় আগমন বা গমন হয়।

কোন বাহন কীসের প্রতীক বহন করে ঃ

দোলা ঃ  দোলা যার অর্থ হলো পালকী যার ফলে মরক বা মহামারীর প্রতীক হিসেবে ধরা হয়।

নৌকা ঃ নৌকার ফলে বন্যা ও অতিবৃষ্টি নৌকার আগমনের ফলে শষ্যপূর্ণ বসুন্ধরা হয়।

গজ ঃ গজ যার অর্থ হলো হাতি যা শান্তি ও সমৃদ্ধির ফল বহন করে গজের আগমন গমন উভয়ের ফলে শষ্যপূর্ণ বসুন্ধরা হয়।

 ঘটক ঃ ঘটক যার অর্থ হলো ঘোড়া যার ফলে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করে , যুদ্ধ এবং অশান্তিরি  প্রতীক।

এই বছর ২০২২ সালে মায়ের আগমন ও গমন 

দেবী দূর্গা এই বছর আসবেন গজে যা শান্তি ও সমৃদ্ধির ফল বহন করে এবং ‍ফিরবেন নৌকায়  ফলে বন্যা ও অতিবৃষ্টি এবং শষ্যপূর্ণ বসুন্ধরা হয়।